Swami Premeshanandaji’s collection

যখন যে অবস্থায় পড়া যায়, সেখানকার সাথে খাপ খাওয়াইয়া লওয়াই কর্তব্য। একটা রুটিন করিয়া খুব হুঁশিয়ার ভাবে চলিলে তোমার জীবনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হইয়া উঠিতে পারে। জীবনটাকে সমাজের উন্নতির কার্যোপযোগী করিয়া তুলা সর্বাগ্রে কর্তব্য। তারপর নিষ্কাম ভাবে সেই কার্য সারাজীবন করিলে মুক্তি পর্যন্ত লাভ হইবে। রুটিন করিয়া প্রতিদিন সার্থক করিয়া তুল, প্রতি ক্ষণ সার্থক করিয়া তুল। …

Swami Premeshanandaji’s collection

টাকা-পয়সা বস্তুতই গোলমেলে। এইসব হিজিবিজিগুলি না থাকিলেও জীবন চলে না। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন বিস্বাদ হইয়া পড়ে; তাই আমরা, সন্ন্যাসীরা, নানা গোলমাল নিজেই বাধাই ও পস্তাই, দুঃখ করি, অভিমান করি। তোমার বুদ্ধি কম বলিয়া তুমি মার খাইবেও কম; আমার বুদ্ধি বেশি, তাই মারও খাইব বেশি। মার খাওয়া সকলের জন্যই আছে। শ্রীরামকৃষ্ণকেও মার খাইতে হইয়াছিল। এই জগতে কারও …

Swami Premeshanandaji’s collection

অসুখটা হয়তো ভালোর জন্যই হইয়াছে। ব্যাধি জীবাত্মার অগ্রগতির, অনেক সময়ই সাহায্য করিয়া থাকে। ব্যাধি হইতে স্বভাবতই মন নিজের দেহে গুটাইয়া আসে। মানুষ নিজের চিন্তা করিতে চায় না। যা কিছু ভাবে সবই Object সম্বন্ধে; Subject যে আছে, তার খবরই রাখে না। সুযোগ মতো দীক্ষা নিও, ব্যস্ত হইবার, দুঃখিত, চিন্তিত হইবার কোন কারণ নাই। তুমি নিশ্চিন্ত থাকো …

Swami Premeshanandaji’s collection

সর্বভূতে ব্রহ্ম তো স্বরূপে বিরাজ করেন না, ভালোমন্দ উভয় সাজে সেজে থাকেন। তাহার সাজও তো স্বীকার করিতে হয়, তা না হলে ব্যবহার চলবে কিরূপে? মন্দকে মন্দ বলিয়া না জানিলে কত যে বিপদের সম্ভাবনা, তা কি জানো না? সবই যদি ব্রহ্ম, তবে বাপ, মা, ভাই, বন্ধু ছেড়ে এতে কেন? ছাদে উঠে গেলে, তবে তো জানা যাবে, …

letter from Swami Turiyanandaji

স্বামী তুরীয়ানন্দজীর পত্র হইতে :~~~~~ শঙ্করাচার্যের ‘প্রশ্নোত্তরমালা’ পড়িলে দেখিবে এই প্রশ্ন আছে —“কো বা গুরুর্যো হি হিতোপদেষ্টা ৷শিষ্যস্তু কো যো গুরুভক্ত এব ৷৷” অর্থাৎ গুরু কে ? না — যিনি হিতোপদেশ করেন ৷ আর শিষ্য কে ? না — যে গুরুভক্ত, কিনা গুরুর আদেশ প্রতিপালন করেন এবং সেবাদিতে তৎপর থাকেন ৷ হিত মানে পরমার্থ, এবং …

Swami Yatiswaranandaji Maharaj’s spiritual lesson

স্বামী যতীশ্বরানন্দের পুণ্যস্মৃতি :~~~~~ প্রব্রাজিকা সারদাপ্রাণা :— আমরা কখনও কখনও নিজেদের সুখ-দুঃখ, নানা সমস্যার কথা, অধ্যাত্মপথের নানা বাধাবিপত্তির কথা, পূজ্যপাদ মহারাজের কাছে বলতাম ৷ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সমাধান আসত চিরপরিচিত কয়েকটি শব্দের মধ্য দিয়ে ৷ “জপ করো, জপ করো, প্রার্থনা জানাও, তাঁর ধ্যান করো আর কথামৃত পড়তে থাকো ৷” একদিন ওইরকমভাবে মহারাজকে বলতে শুনে আমাদের …

Swami Premeshanandaji’s collection

অন্তর্জগতের প্রকৃত উন্নতি ‘সময়মূল্যে’ কিনিতে হয় হে। বহু সময় ব্যয় না করিলে কোনও উপকার লক্ষ্য করা যায় না। কত লক্ষবার নানা দেহ ধারণ করিয়া কেবল ‘দৃশ্য’ দেখিয়া বেড়াইয়াছি— দৃষ্টা ‘আমিটি’ যে উপবাসে মরিতেছে তাহা একবারও ভাবি নাই। আজ অন্তরের দিকে তাকাইতে পারি না, ওদিকে মুখ ফিরাইলেই যেন কি এক প্রবল শক্তি ঘাড় ধরিয়া জগতের পানে …

Swami Premeshanandaji’s collection

বন্ধুবান্ধবের চিন্তা পরিত্যাগ কর। মনকে নিজের হাতে নিয়ে এস। মন যে কত বাহিরে ছড়াইয়া রাখিয়াছ তাহা তুমি কি বুঝিতেছ না? প্রবল রাজসিক বৃত্তি নিত্য তোমার মনে শত কল্পনার সৃষ্টি করিয়া তোমার কি পরিমাণ শক্তি হরণ করিতেছে তাহা যদি না বুঝিয়া থাক তবে বুঝিবার চেষ্টা কর। এইভাবে চলিলে সংসারের কোন কাজে লাগিবে না। নিজের আধ্যাত্মিক উন্নতি …

Swami Premeshanandaji’s collection

আনন্দ ভিতরে। কোনও মনোহর বাহ্য বিষয় দ্বারা ভিতরের আনন্দকে উত্তেজিত করিয়া আমরা অনুভব করি। কিন্তু যোগী ব্যক্তি self-কে শরীর-মন-বুদ্ধি- অহঙ্কার হইতে আলাদা করিয়া ভিতরের আনন্দ অনুভব করিয়া আত্মারাম হন। বাহিরের অবস্থা সকলের সমান। জ্ঞানীও শরীর জ্ঞানে পশুর সমান কিন্তু তিনি শরীর হইতে সরিতে পারেন। আমরা পারি না। অতএব অবসর পাইলেই সকল আনন্দ সকল শক্তির মূল …

lesson from Swami Yatiswaranandaji

মনশান্তরাখার_পদ্ধতি ~~~ স্বামী যতীশ্বরানন্দ :— চঞ্চল মনকে নিয়ন্ত্রণে এনে একমুখী করা সবচেয়ে দুরুহ ব্যাপার ৷ ছাত্রাবস্থায় আমাদেরই একজন স্বামী ব্রহ্মানন্দের নিকট অনুযোগ করে, “আমার মন এখনো চঞ্চল । কেমন করে তা শান্ত করা যায় ? মনে হয় এজন্য আমার সকল সংগ্রামই ব্যর্থ হয়েছে । এখন এ সকল আমার কাছে অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে ৷” উত্তরে …

Design a site like this with WordPress.com
Get started