জপসাধনা৩
মন্ত্রে যদি বিশ্বাস থাকে, যান্ত্রিকভাবে বারবার মন্ত্র উচ্চারণ করলেও পরিণামে তার ফল পাওয়া যায়, কারণ দিব্য নামের মধ্যে মহতী শক্তি নিহিত অাছে ৷ বিভিন্ন ধরণের চিন্তাকে প্রতিহত করতে এই নাম খুব সাহায্য করে ৷ অামাদের সমস্ত ধর্মাচার্যের মতে, অাধ্যাত্মিক অনুভূতি লাভের জন্য অথবা অন্তর্নিহিত দিব্যভাবের বিকাশের জন্য জপ—সাধনা অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় ৷
অামাদের প্রয়োজন অান্তর শুদ্ধি ৷ অামাদের দেহ-মন সম্বলিত অবয়বটির যথার্থ রূপান্তর দরকার ৷ অামাদের চিন্তায় বাক্যে এবং কাজে পবিত্রতা রক্ষার জন্য সচেষ্ট না হলে অাধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটবে না ৷
কিন্তু কিভাবে পরিপূর্ণ পবিত্রতা লাভ হতে পারে ?
সঙ্ঘের প্রথম অধ্যক্ষ স্বামী ব্রহ্মানন্দজী একবার বলেছিলেন, “অামার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি জপ-সাধনা না করলে কেউ সম্পূর্ণ পবিত্রতা লাভ করতে পারে না ৷”
স্বামী বিশুদ্ধানন্দজীও বলতেন, মনের পবিত্রতা লাভের জন্য রোজ নির্দিষ্ট সংখ্যক জপ করা উচিত ৷ বলেছিলেন, অন্ততঃ দশ হাজার জপ করা দরকার ৷
সঙ্ঘের অারও একজন শ্রদ্ধাভাজন সন্ন্যাসী স্বামী সিদ্ধেশ্বরানন্দজী একই ভাবে নাম জপের উপর জোর দিতে বলতেন ৷ তিনি অামাকে লিখেছিলেন, “খুব অান্তরিকভাবে অধ্যত্ম-জীবনটি গড়ে তোল ৷ শ্রীরামকৃষ্ণের মতে কলিযুগে নাম জপই শ্রেষ্ঠ সাধনা ৷ অামি জপ-সাধনার গোঁড়া সমর্থক ৷”
— স্বামী গোকুলানন্দ ৷