vairragyashatkam(12)

বৈরাগ্যশতকম্।।

বিষয়পরিত্যাগ-বিড়ম্বনা-১১

ন সংসারোৎপন্নং চরিতমনুপশ্যামি কুশলং, বিপাকঃ পুণ্যানাং জনয়তি ভয়ং মে বিমৃশতঃ। মহদ্ভিঃ পুণ্যৌঘৈশ্চিরপরিগৃহীতাশ্চ বিষয়াঃ, মহাশ্তে৷ জায়স্তে ব্যসনমির দাতুং বিষয়িণাম্ || ১১ ॥

অর্থ :- আমাদের বহুকাল ধরে ,শ্রম দ্বারা জমানো বিষয়সমূহও একদিন নিশ্চয়ই ধ্বংস হবে। তা সে তুমি নিজে থেকেই ছেড়ে দাও বা বিষয় অন্য কোনভাবেই শেষ হোক।দুই ভাবেই শেষ হওয়ার ফল শূন্য। তাহলে নিজেরাই তা ছেড়ে দিই না কেন? যদি আমরা স্বেচ্ছায় এর তুচ্ছতা বোধে এদের ত্যাগ করি,তাহলে এ আমাদের অসীম সুখ দিয়ে যায় এবং যদি অন্যকোনভাবে ধ্বংস হয়,বিষয়াশক্তি অব্যাহত থাকার কারণে ঐ গুলো আমাদের সমান যন্ত্রণা দিয়ে যায়।
( অর্থাৎ এগুলো ঘটছে,হে জীব বিচার করো সময় থাকতে,সময় চলে গেলে ভেবে কি লাভ?)
Swami Trilokyananda ji

vairyagyashatkam(11)

বৈরাগ্যশতকম্, বিষয়-পরিত্যাগ-বিড়ম্বনা

ন সংসারোৎপন্নং চরিতমনুপশ্যামি কুশলং, বিপাকঃ পুণ্যানাং জনয়তি ভয়ং মে বিশৃশতঃ। মহদ্ভিঃ পুণ্যৌঘৈশ্চিরপরিগৃহীতাশ্চ বিষয়াঃ, মহাস্তে৷ জায়স্তে ব্যসনমিব দাতুং বিষয়িণাম্ ॥ ১১ ৷

আমরা প্রচলিত পুণ্যকর্ম করেও তার ফলরূপে দুঃখ ছাড়া আর কোন কল্যাণ দেখতে পারছি না। আমি যে কাজগুলো করেছি সেগুলোর বিষয়ে গভীর চিন্তা করে আমার মন যন্ত্রণা ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছে না । দীর্ঘকাল ধরে আমি যেই বিষয় ভোগ করেছি তার প্রবণতা আমাকে আরো ভোগেচ্ছা জাগানোর জন্যই যেন তৈরি হয়েছে যা কিনা অশেষ যন্ত্রণার শৃঙ্খলা সৃজন করেছে।অর্থাৎ আমাকে দুঃখে জড়াতেই যেন বিষয়তৃষ্ণা নির্মিত।শুধু নামেই তা মধুর।
Swami Trilokyananda ji 🙏

vairyagyashatkam(10)

বৈরাগ্যশতকম্, তৃষ্ণাদূষনম্-১০

আশা নাম নদী মনোরথজলা তৃষ্ণাতরঙ্গাকুলা, রাগগ্রাহবতী বিতর্কবিহগা ধৈর্যক্রমধ্বংসিনী। মোহাবর্তস্নুদুস্তরাতিগহনা প্রোত্ত ঈ ঈচিন্তাতটী,
তস্যাঃ পারগতা বিশুদ্ধমনসো নন্দন্তি যোগীশ্বরাঃ ৷৷ ১০ ৷৷

আমাদের বিষয়তৃষ্ণা হল একটি নদীর মত। তা আমাদের নানান কাল্পনিক দ দায়িত্ববোধ, বাসনা, লক্ষ রূপ জলে পূর্ণ। সেই নদীতে বিষয়াশক্তিরূপ নানান হিংস্র জন্তু রয়েছে।
এই নদী আমাদের ধৈর্যরূপ গাছকে উপড়ে ফেলে। সেই নদীতে মায়া – মোহাদি ঘুর্নায়মান বলয় বিদ্যমান যা আমাদের তরী পাড়ে পৌঁছতে বাঁধা দেয়। এছাড়াও এই নদীর দুই পাড় অত্যন্ত উঁচু দুশ্চিন্তা দ্বারা বাঁধা। মুনি – ঋষিরা তাদের বিবেকরূপ চিত্তকে নৌকা বানিয়ে এই নদীর পাড়ে যান অর্থাৎ এই জীবনের যন্ত্রনার উর্দ্ধে উঠে যান।
Anubade Swami Trilokyananda ji

Vairyagyashatakam (9)

বৈরাগ্যশতকম্,তৃষ্ণাদূষনম্- ০৯

নিবৃত্তা ভোগেচ্ছা পুরুষবহুমানোঽপি গলিতঃ,
সমানাঃ স্বৰ্যাতাঃ সপদি সুহৃদো জীবিতসমাঃ।
শনৈর্যষ্ট্য খানং ঘনতিমিররুদ্ধে চ নয়নে,
অহো মূঢ়ঃ কায়স্তদপি মরণাপায়চকিতঃ ॥ ৯ ৷

আমার বিষয় ভোগের অক্ষমতা জনিত পৌরুষ না থাকায় “আমি পুরুষ” এই দম্ভ নষ্ট হয়েছে। আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা শারীরিক অবস্থা ভেদে বিভিন্ন সময়ে আগেই মৃত্যুলোক গমন করেছে। আমিও লাঠি ছাড়া উঠে দাঁড়াতে পারি না, এখন আমার চোখও ধীরে ধীরে দর্শনে অক্ষম হয়ে চলেছে।কিন্তু আমি জ্বরাগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও আমার এই নির্লজ্জ শরীর মরতে ভয় পাচ্ছে।(অর্থাৎ এ অবস্থা সবার অবশ্যম্ভাবী বুঝে উচিৎ কর্মে প্রবৃত্ত হউন।)

vairyagyashatakam (7)

বৈরাগ্যশতকম্, তৃষ্ণাদূষণম্-০৭

ভোগা ন ভুক্তা বয়মের ভুক্তাঃ,
তপো ন তপ্তং বয়মের তপ্তাঃ।
কালো ন যাতো বয়মের যাতাঃ,
তৃষ্ণা ন জীর্ণা বয়মের জীৰ্ণাঃ ॥ ৭ ॥

স্থুলবুদ্ধিতে আমরা জাগতিক বিষয়সমূহ ভোগ করছি বলে মনে হলেও, সত্য এটাই যে বিষয়সমূহই আমাদের প্রচ্ছন্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণ কোরে ভোগ করে যাচ্ছে।

তপস্যা আমাদের অহংকার নাশ কোরে শীতল করার কথা,কিন্তু উল্টে তপস্যার অহং আমাদের চালাচ্ছে।

আমরা স্থির থাকব ও সময় বয়ে চলার কথা কিন্তু অতীত ভবিষ্যতের ভাবনার ধাক্কা খেতে খেতে আমরা বয়ে চলেছি।

(অর্থাৎ,জাগতিক সচ্ছলতা, প্রচেষ্টা করা কিংবা সফলতা লাভের পরেও এসবের ইচ্ছা আমাদের একবিন্দুও কমলো না বরং আমাদের জীবনকাল শেষ হয়ে এলো।)

হায়! আমাদের তৃষ্ণা একটুও কমলো না উল্টে আমরা তার দাবি মেটাতে মেটাতে জীর্ণ, ক্লান্ত হয়ে গেলাম।

vairyagyashatkam (8)

বৈরাগ্যশতকম্, তৃষ্ণাদুষণম্-০৮

বলীভিম খমাক্রান্তং পলিতেনাংকিতং শিরঃ। গাত্রাণি শিথিলায়স্তে তৃষ্ণৈকা তরুণায়তে ॥ ৮ ॥

আমার মুখের চামড়া সঙ্কুচিত হয়ে অসংখ্য দাগে কুৎসিত হয়ে গেছে। আমার মাথা সাদা এবং দুর্বল চুল দ্বারা পূর্ণ হয়েছে। আমার সমস্ত অঙ্গ শিথিল হয়ে পড়েছে এবং ক্রমশ অক্ষমতা বাড়ছে, একমাত্র আমার বিষয়তৃষ্ণাই চিরতরুন রয়ে গেল।
Anubade Swami Trilokyananda ji 🙏

ketu remedies, lifestyle and herbs.

ALOK JAGAWAT

🔱 The remedies of Ketu/ lifestyle, herbs and stones

🦜 Ketu is related to Clairvoyance because for this ability you need to be isolated from the lateral world of Maya. Ketu removes the cobwebs of Maya and puts your vision into a different dimension of time.

🦜 Your lifestyle should complement the requirements of Ketu. Doctrinal knowledge and spiritual lifestyle will enable your mind to escape from the difficulties in the Ketu dasa period. Accept advises and directions of the learned people. This will help in strengthening your mind. Restarting the suspended religious rites, finding some time for meditation, and practicing a systematic lifestyle are important. Don’t quarrel with those inside and outside your family. Don’t hesitate to make concessions. Be careful while traveling in vehicles. Your presence is necessary while doing poojas and remedial measures.

🦜 Doing Ganapathi sacrifice (homa) on your birth star day; visiting Ganapathi temple on the fourth day after the new moon/full moon (chadurthi) while fasting; and chanting the hymns of Ganapathi are the best ways to reduce the harmful effects of Ketu dasa. Some astrologers also recommend the worship of goddess Chamundi. The person who’s Ketu is in odd rasi must worship Lord Ganapathi, and who’s is in even rasi must worship goddess Chamundi.

🦜 You can donate horse-gram, goat, weapons, beryl, red or black silk etc to appease Ketu. It is beneficial to give away the statue of Ketu made of gold, silver or five metals.

🦜 Chant the following mantra
Ketu (17,000X or 4 malas a day for 40 days) Ṛg Veda, Maṇḍala 1, Sūkta 6, verse 3
केतुं कृवन्नकेतवे पेशो मर्या अपेशसे समुषद्भिरजायथाः
ketuṁ kṛvannaketave peśo maryā apeśase samuṣadbhirajāyathāḥ

🦜 diseases related to ketu

A badly placed Ketu can produce neurological weakness, mental depression, feeling of isolation and stress full conditions.

🦜 herbs to wear

Ashwagandha – It is described as Medhya Rasayana (beneficial to the brain) in Ayurvedic literatures. Recent researches have observed that Ashwagandha acts as an antI stress and adapt genic herb. Regular use of Ashwagandha improves mental capabilities by enhancing the stress tolerance capacity. It is also known to stimulate immune functions. By virtue of these uses it is often referred to as “Indian Ginseng”.

The herb has to be worn in thread in pendant form on a Tuesday.

🦜 Gemstone

The stone of Ketu is Vaidurya Mani or Chrysoberyl Cat’s eye. It should be worn in smaller sizes of 3 to 5 carat in the last finger in silver. The real cat’s eye is chrysoberyl. The fake one is sold in market (90% of the time). It is quartz with chatoyancy effect.

Swami Trilokyananda ji

প্রশ্ন :- “প্রারব্ধ” ভোগ করতেই হয়। তবে তার নাম করলে যেখানে ফাল সেধুঁত, সেখানে সূঁচ বিঁধবে”- মা সারদার এই কথার অর্থ কি?

মহারাজ :-“প্রারব্ধ”- ব্যাপারটা আমাদের কাছে কিন্তু clear নয়। যা নির্ধারিত অর্থাৎ যার জন্য প্রাকৃতিক ভাবে কার্য-কারণ তৈরী তাকে প্রারব্ধ বলছে। কিন্তু মানুষ ঐটুকু মাত্র নয়।

একজন যে দেহ পায়, জন্মের সাথে সাথে যেসব tendency, তারপর যে স্হানে, পরিবারে তার জন্ম – এসব ব্যক্তির হাতে নেই। শরীর সৃজন হলে নিশ্চিত তাতে ষড়বিকার হবেই। কেউ বাদ যাবে না। যে পরিবেশ, দেশ, জাতিতে জন্মাবে- তার কিছু প্রভাব পড়বেই পড়বে। খাদ্যাভ্যাস তেমন হবে, পোষাক, ভাষা তেমন হবে। এসব প্রারব্ধ। এর মানে এই নয় যে, যে বিষয়টা বোঝার মত সূক্ষ্মতা আপনার নেই, তাকেই প্রারব্ধ বলে stamp চিপকে দিলাম। কিন্তু মানুষ তাই করে। নিজেই যেসব ভুল করেছে, তা না বুঝে বলে দেয় ” কপাল খারাপ”। কিছু খারাপ নয়। আপনি করেছেন। একটু closely দেখলেই তা অনায়াস বোঝা যাবে।

যেগুলোতে আপনার কোন পছন্দের option নেই, তা নিতেই হবে। যা বস্তুগত, দৈহিক, তা অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু, দেহের যন্ত্রণা, বস্তুগত বিচ্ছেদ কি আমাদের শেষ কথা? মানসিক ভাবে যে যন্ত্রণা পাই, তাতেই মানুষ মরে আছে। আপনি ২ দিন ভালো খেতে না পেলে ভুলে গেলেও যাবেন। কিন্তু চোর বললে বা ঐ জাতীয় অপমান করলে আপনি সারাজীবন মনে রাখবেন।

তাঁর নাম অর্থাৎ নিজের অন্তরতম চেতন সত্তার সাথে যুক্ত হলে, নিজেকে দেহ নয়, চেতনা হিসেবে দেখলে, যে দেহ বস্তুগত জগত এতো গুরুত্বপূর্ণ ও বিরোধী, ভয়ংকর মনে হচ্ছে, শেষ কথা মনে হচ্ছে,- ‘যে এটা না থাকলে হয়তো সব শেষ’, তা আর এমন মনে হয় না। বস্তু, জগতের গুরুত্ব, সব হ্রাস পায় আপনার কাছে।

উদাহরণগুলো as it is নিয়ে নেবেন না। ওটা মোটাবুদ্ধি বা তামসিক গুণ। যেখানে একটা ঘটনাতে মন ফালাফালা হয়ে যেত, আজ তা আর আপনার কাছে big issue নয়। সূঁচ ফোটার মত মনে হবে। পাশের বাড়ির কারোর কিছু হলে তেমন কিছু হয় না, কিন্তু নিজের হলে নড়ে যাই।জপধ্যানের ফলে দেহ, মন অনিত্য বা পরবোধ হয়- বিশেষ কিছু যায় আসে না।এটাই সূঁচ বেধা। কেউ মরে গেছে শুনে খারাপ লাগলো কিন্তু অফিসও গেলেন।নিজের কেউ হলে শোকসভা বসে যেত। জপধ্যান তখনই মাত্র সূ্ঁচ বেধার মতো সহায়ক হয়ে যাবে, যখন দেহাত্মবোধ নাশ করবে।

বাহ্যিকভাবেও অনেক স্হূল ঝামেলা থেকে আপনি বেঁচে যান। বাহ্যিক বিষয়ে সম্পৃক্ত হয়ে যেসব ঝামেলা বাধত, তা আর বাধে না। আপনি কোন ভালো বই পড়ছেন ঘরে, অসময়ের আড্ডা ও তা থেকে হওয়া মনের চঞ্চলতা, project, সেখানের সাথে লিপ্ত হয়ে বাড়ির কাজের সময়ের অপচয়, মনোমালিন্য, অনেক ঝামেলা থেকে passively বেঁচে গেলেন। ভেবে দেখুন, এসবই জীবনের বড় বড় blunder ও ভুল নিয়ে আসে। সদগ্রন্হ পড়া, মনন করা – এসবও নাম করারই সমান।তবে এটা ভাববেন না, যে ১০৮এর জায়গায় একটু জপ বাড়িয়ে দিয়ে accident এর থেকে বেঁচে যাবেন। এসব বালখিল্যতা।

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

Swami Trilokyananda ji 🙏

Swami Trailokyananda ji

প্রশ্ন :- গোত্রান্তর ব্যাপারটা কি? আমি ব্রাহ্মণ্ বংশে জন্মেছি ও অব্রাহ্মণ্ বংশে বিবাহ – তবে কি আমি ব্রাহ্মণ্ থাকলাম না? জন্মগত ব্রাহ্মণ এটাকে negate করা হলো।তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে কি এর কোন মূল্য রইল না?

মহারাজ :- এই হলো জল গুলিয়ে খাওয়া। আপনি কোন so called ব্রাহ্মণ্ বংশে জন্মেও ব্রাহ্মণ্ ছিলেন না, তো আবার গোত্রান্তরে অব্রাহ্মণ্ কি হবেন? কিন্তু আমাদের অহংকার বলে আমি ব্রাহ্মণ্ ছিলাম। আজ্ঞে নয়। আপনি, আমি একমাত্র কর্ম ও সংস্কারের দ্বারাই ব্রাহ্মণত্ব পাই।

প্রকৃতি, দেহ, স্হূলভাবে যারা বাঁচছে, তারা সবাই শূদ্র। ব্রাহ্মণ্ মাত্র সে, যে ব্রহ্ম বা আত্মাকে কেন্দ্র করে বাঁচে। যে চেতনাকে, চিত্তের শুদ্ধির জন্য মাত্র কর্ম করে, সে শুধু ব্রাহ্মণ্। তা আপনি যদি ঐ স্তরে আপনার বাবার বাড়িতে থেকে থাকেন ও স্বামীর বাড়িতে এসে, দেহের দিকে চলে গেলেন, তবে মাত্র গোত্রান্তর হলো।

আপনি দাসই হোন বা মুখার্জী-ই হোন, ভরদ্বাজই হোন অথবা বিশ্বামিত্র, কিছু এসে যায় না ও কিছু বদলায় না, যদি আপনি consciously নিজেকে না বদলান, ক্ষুদ্রতা থেকে না ওঠেন।

DNA বা genetic feature-এ জীবন বদলে যেতে পারে, modify হতে পারে। আর এতো ঋষিদের সময়ের কথা। গোত্র basically একটা ধারার অনুবর্তন বোঝায়। যেমন- আমরা বলি, ” সে অমুক বংশের সন্তান, কিভাবে এমন হলো? “অর্থাৎ আশা করা হচ্ছে DNA-গত কিছু উচ্চ সংস্কার তার মধ্যে আছে। কিন্তু, not necessery যে এমনই হবে। বাপ ও ছেলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য হয়ে যায়। আর এতো হাজার হাজার বছর আগের অনুবর্তন।

দেখে নিন না, ভরদ্বাজ, শান্ডিল্য ঋষিদের গুণ আপনাতে আছে কিনা, তবে তো গোত্র বা গোত্রান্তর হবে? গোত্র ব্যাপারটা উচ্চতার জন্য, কিছু মনে করানোর জন্য, উৎকর্ষতার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তাকে মানুুষ নিজের রঙে রাঙিয়েছে। তুই ছোট, আমি বড় বা এক গোত্র, তাই বিয়ে হবে না। যদি কেউ সত্যিই বড় হয়, তবে তা বজায় রাখুক, ও অন্যকে স্ব-গোত্রে তুলুক ও কেউ ছোট হলে, সে আগে ওঠার চেষ্টা করুক। এটা উচ্চতার জন্য দেওয়া, ক্ষুদ্রতায় বাঁধার জন্য নয়।

বিবাহই যখন দেহ ও বস্তুকে কেন্দ্র করে তবে জানুন, আপনি সব ভাবে শূদ্র ছিলেন ও আছেন, গোত্রান্তর হয়নি।যেমন “certificate”- class eight pass হোক অথবা graduate এর হোক, দুটোই যথার্থ নয়, যখন আপনি অশিক্ষিত ও নিরক্ষর।
Swami Trilokyananda ji 🙏

Swami Trilokyananda ji

প্রশ্ন :- গুরুস্হানে অনেক ঘুরলাম কিন্তু কাউকে মনে প্রাণে গ্রহণ করতে পারিনি। সেটা কি নিজের সমস্যা?

মহারাজ :- জগতে যদি সত্যিই সমস্যা বলে কিছু থাকে, তবে তা আমরা নিজেই। ছোট, বড়, মেজো, সেজো, সামাজিক সব সমস্যার কেন্দ্র আমরা নিজেই।

গুরুস্হানে ঘুরেছেন বলছেন, শিষ্য হয়ে ঘুরেছিলেন তো? “গুরুস্হান”-কে, গুরুস্হান বলতে গেলে গুরুতা বুঝতে হয়। আর গুরুতা কে বুঝবে? শিষ্য সে, যে অন্ধকার থেকে আলো, মিথ্যা থেকে কেবলমাত্র সত্যই চায়, অন্য কিছু নয়। আপনি যখন কেবলমাত্র মুমুক্ষু, তখনই মাত্র গুরুকে গুরু বলে চিনতে পারবেন। কোন লৌকিক আচার, আচরণ, গেরুয়া, মঠ, প্রথা, রীতির দ্বারা গুরুকে চেনা যায় না।

আপনি হয়তো গুরুস্হান বলতে প্রচলিত ও ধার্মিক মার্কামারা জায়গা ও ব্যক্তি -এমন কিছু বোঝাতে চেয়েছেন। ভুল জায়গায় খুঁজলে কিভাবে ঠিক কে পাবেন? এমন সব স্থানেই গুরু পাবেন ও যেগুলোতে আপনি ঘুরে ফিরে বেড়ালেন, সেখানে আছেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।

তবে কি করবেন? জহুরি হয়ে যান, ঠিক গুরু চিনে যাবেন। আর ভুল ব্যক্তি হয়ে থাকলে, কিভাবে আপনার মন, প্রাণ সঠিক গুরুতা বোঝার পাত্র হয়ে যাবে? হয়তো কোন সঠিক গুরু pant, shirt পড়ে বিড়ি খেতে খেতে আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।তখন আপনি হয়তো তখন কোন আশ্রমে, মঠে, মন্দিরে প্রবচন শুনতে বা প্রণামের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বা কোন নিয়ম, পদ্ধতি, বিধি পালন করছিলেন।

গুরুতার জন্য মন প্রাণ তখন মাত্র receptive হয়, যখন আপনি সব ধারণা, মান্যতা ছেড়ে শুধুমাত্র মুক্তি চান, পূর্ণতা চান, এটাই শিষ্যত্ব। আর এটা জাগলে ছোট পাথর, নুড়ি, নদী, পাখি, পুরো প্রকৃতি আপনাকে শিখিয়ে যাবে। দেহধারী গুরুকেও চেনা যাবে যে আমাকে ভবপারের পথ দেখাতে পারবে। তাকে বুঝে ফেলতে পারবেন না, কিন্তু আভাস পেয়ে যাবেন। যে নিজের রোগের প্রতি serious তখন ঐ seriousness-ই চিনেছে, সে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। হাতুড়ের হাতে পড়তে পারে কিন্তু রোগের জ্বালা তাকে সঠিক ডাক্তারের কাছে টেনে নিয়ে যাবে।

তো আগে সঠিক রুগী হয়ে যান, রোগের জ্বালা অনুভব করুন, দেখবেন শান্তির হাত এমনিই এসেছে। হয়তো কাছেই আছে, তাকে চিনতে পারেননি এতদিন।

Design a site like this with WordPress.com
Get started