মানুষ মাত্রেরই একটা তথ্য জানা একান্ত কর্তব্য (দ্বিতীয় ভাগ)
২য় তাপ—মশা, মাছি, সর্প, ব্যাঘ্র, রোগের বীজাণু, চোর, ডাকাত, রাজা, অত্যাচারী শাসক, ‘বদরাগী-অহঙ্কারী-লোভী-সহবাসী’। কত বলিব, জগতের সকল জীবকে যেন আমায় দুঃখ দিবার জন্যই সৃষ্টি করা হইয়াছে। ত্রিভুবন খুঁজিলেও একটা প্রাণী পাওয়া যায় না যে সর্বদাই সুখপ্রদ। পরমপ্রিয় বন্ধু পীড়িত হইয়া, অবশেষে মরিয়া, আমাকে জ্বালাতন করে। কার কাছে যাব বল ?
তৃতীয় তাপ—ঝড়, বাদল, বন্যা, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি আমাদের পিছনে লাগিয়াই আছে। শীত-গ্রীষ্মের জ্বালায় বারোমাস জ্বলিয়া মরি।
আধ্যাত্মিক (নিজের ভিতরের) তাপ, আধিভৌতিক (অন্যভূত বা জীবগণ কর্তৃক প্রদত্ত) ও আধিদৈবিক (দেবতাদের দ্বারা কৃত) তাপপূর্ণ এই জগৎ। যাবে কোথায় বাছাধন? কত চটিবে বলো? এই জগতে যেখানে যাবে, তোমার সুখ-দুঃখ আসিবেই আসিবে। নড়িয়া বসিলে, ক্ষণেকের আরাম মাত্র। পাশ ফিরিলে ক্ষণকাল সুখ বোধ হয়। তাই কর্তারা বলেন, “শ-ষ-স”, সয়ে থাকো, সয়ে থাকো, সয়ে থাকো।
—- স্বামী প্রেমেশানন্দ