Swami Sarvapriyanandaji s spiritual lesson.

সংবেদনশীল_আত্মচেতনা ( ১ )

~~~~~

স্বামী সর্বপ্রিয়ানন্দ :—

♦️ অধ্যাত্মপথে নিজেকে উন্নীত করতে সচেষ্ট হলেও এই যে চারপাশে মানুষের এত কষ্ট, শোক — এসব দেখে খুব বিহ্বল, অবসন্ন লাগে, বিব্রত হয়ে পড়ি । নিজের পাশাপাশি সকলকে কী করে ভালো রাখব ?

⚜️ সত্যি বলতে, এমনটিই হওয়া উচিত ৷ একজন সংবেদনশীল মানুষ এভাবে ভাবতে বাধ্য ৷ মানুষ যদি অন্যের কষ্ট অনুভব না-ই করল, তাহলে সে তো পাষাণহৃদয় ! কিন্তু কী জানেন তো, আপনাকে যেমন অনুভবী হতে হবে, তেমনই হতে হবে বাস্তববাদী ৷

অন্যের দুঃখে আমরা দুঃখী অবশ্যই হব, সে খুবই ভালো কথা ৷ কিন্তু একইসঙ্গে, তাতে বিহ্বল হলে চলবে না ৷ আমার নিজের অধ্যাত্মপথে আমাকে সবসময় প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে ৷ আমরা ব্যক্তিগত শোকতাপ থেকে উত্তীর্ণ হই কীভাবে ? এই আধ্যাত্মিকতার সাহায্যেই তো !

♦️ কিন্তু নিজের আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্যের যন্ত্রণার উপশম কি সম্ভব ?

⚜️ অবশ্যই সম্ভব ৷ আপনি যেভাবে আপনার চারপাশ দেখতে অভ্যস্ত, তেমন একটি পথকেই ধরুন না ! যদি একজন কর্মযোগীর কথাই বলি, তাঁর ভাবনা সবসময় কেমন জানেন ? মানুষের সেবা করাই তাঁর জীবনের একমাত্র সত্য ৷ তাঁর চারপাশের সব মানুষের সেবায়, দুঃখকষ্ট দূর করার কাজে তিনি এমন নিমগ্ন থাকেন যে, কখনো যদি-বা তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা এসে উপস্থিত হলো — কেউ খারাপ ব্যবহার করল বা আর্থিক অনটন — সেসবকে তাঁর বড় তুচ্ছ মনে হয় ৷

এমনই হয়, দেখবেন, যখন অনেককে ভালো রাখার গুরুদায়িত্ব আপনার কাঁধে, যখন আপনি তাঁদের পরিস্থিতি, প্রতিকূলতার সঙ্গে একাত্মবোধ করছেন, তখন আপনার ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তি গৌণ হয়ে ওঠে ৷ উলটোদিকে আবার এমন অনেক মানুষও আছেন, যাঁরা অধ্যাত্মপথে এসেও পরার্থকর্মে নিজেদের নিয়োজিত না করার ফলে নিঃস্বার্থ হওয়ার বদলে আরও বেশি স্বার্থপর হয়ে ওঠেন । নিষ্কাম কাজের মধ্যে না থাকলে, সারাক্ষণ নিজেকে নিয়ে একা থাকলে মন বড় সংকীর্ণ হয়ে যায় ; এই ক্ষুদ্র দেহবুদ্ধি, নিজস্ব সমস্যাই তখন সর্বস্ব হয়ে ওঠে ৷ ( চলবে )

Published by anandamayee88

ONE WHO LOVES GOD FINDS THE OBJECT OF HIS LOVE EVERYWHERE.

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started